Part- 1 পবিত্র শাবান
মাসের ফজিলত ও করণীয়
চান্দ্রবর্ষের
অষ্টম মাস পবিত্র শাবান মাস। এ মাস অত্যন্ত ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন হাদিসে
এ মাসের বিশেষ ফজিলত ও তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে। এ মাসে মুসলিম উম্মাহর কিছু করণীয়ও
রয়েছে। পবিত্র শাবান মাসের পরের মাসই হচ্ছে মহিমান্বিত রমজান মাস। রহমত,
বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহান মাস রমজান। অধিক
ইবাদতের মাস রমজান, এ জন্য পবিত্র শাবান মাস থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুতি
নেওয়া প্রত্যেক মুসলমানেরই কর্তব্য।
হজরত মুহাম্মদ
(সা.) শাবান মাস থেকেই পবিত্র রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিতেন বলে হাদিসে উল্লেখ
পাওয়া যায়। হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র শাবান মাস থেকেই রমজানের জন্য অধীর আগ্রহ
নিয়ে অপেক্ষা করতেন। আর এ কারণেই তিনি পবিত্র শাবান মাসের দিন-তারিখের খুব গুরুত্ব
দিয়ে হিসাব রাখতেন।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র শাবান মাসের
দিন-তারিখের এত হিসাব রাখতেন যতটা হিসাব অন্য মাসের রাখতেন না,
(আবু দাউদ
১/৩১৮)। সুতরাং পবিত্র শাবান মাসের দিন-তারিখের হিসাব রাখা সুন্নাত। মুসলমানদের
করণীয়। পবিত্র শাবান মাসে অধিক হারে নফল রোজা রাখা উত্তম।
হজরত উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি জানান,
আমি হজরত নবী করিম (সা.)-কে শাবান ও
রমজান ব্যতীত দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে শাবান মাসের মতো এত অধিক নফল রোজা রাখতে অন্য কোনো মাসে আর দেখিনি। এ
মাসের অল্প কিছু দিন ব্যতীত বরং বলতে গেলে সারা মাসই তিনি নফল রোজা রাখতেন।
(তিরমিজি-১/১৫৫)
পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ১৫ শাবান রাত হচ্ছে
শবেবরাত। এ রাতের অশেষ ফজিলতও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বছরের পাঁচটি শ্রেষ্ঠ রজনীর
অন্যতম এ শবেবরাত।
এ রাতের করণীয় সম্পর্কে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,
১৫ শাবান রাতে তোমরা জেগে থেকে ইবাদত কর
এবং পরদিন রোজা রাখ। এ জন্য শবেবরাতে জেগে থেকে ইবাদত করা এবং পরদিন রোজা রাখা
বিশেষ সওয়াবের কাজ। সর্বোপরি পবিত্র শাবান মাসের পরই যেহেতু পবিত্র রমজান মাস তাই
শাবান মাসেই পবিত্র রমজানের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে।
Part _2 ও Part_3 দেখতে এখানে Click করুন।
0 comments Blogger 0 Facebook
Post a Comment
Thanks for see