পবিত্র কোরআনের আলোকে শবে মে'রাজ এর শিক্ষা ও তার করনীয় কি?
এতে আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেছেনঃ ‘পবিত্রতম মহিমাময় সত্বা, যিনি নিশা-ভ্রমণ করালেন নিজ বান্দাহ্কে রাতের কিছু সময়ের মধ্যে মসজিদে হারাম খেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, সে স্থানের পার্শবর্তী এলাকাগুলো বরকতে পরিপূর্ণ, আমার নিদর্শণসমুহ দেখানোর জন্য, তিনি অবশ্যই সবকিছু শোনেন এবং দেখেন।’
মক্কী জীবনে নবুয়তের ১২শ তম বৎসরে অথাৎ হিজরতের আগের বছর এবং মে’রাজের পর পরই এ সুরাটি নাজিল হয়।
পবিত্রতম মহিমাময় সত্বা *সর্বাপেক্ষা পবিত্র * সব কিছুর চেয়ে পবিত্র * সব অপারগতা থেকে পবিত্র * সব অসম্ভব থেকে পবিত্র। মোট কথা তিনি Superior. যিনি অর্থাৎ যাঁর বর্ণনা বা পরিচয় উপরে দেয়া হয়েছে। নিশা-ভ্রমণ করালেন বা নৈশ ভ্রমণ করালেন। সশরীরে, স্বপ্নে নয়, জাগ্রত অবস্থায়, নফসকে নয়।
• কবে বা কখন ঘটেছে? @ যখন তাঁর (সাঃ) বয়স ছিল ৫২ বছর @ নবুয়তের ১২তম বছরে @ রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে @ সেটা ছিল বুধবার দিবাগত রাত।
• কোন অবস্থায় ঘটেছে? @ উম্মে হানী (রাঃ) -এর ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন @ জিব্রাঈল (আঃ) ও মিকাঈল (আঃ) তাঁকে (সাঃ) ঘুম থেকে জাগালেন। @ যমযম কুয়ার নিকট নেয়া হলো @ ছিনা ছাক্ক করা হলো @ যমযমের পানি দিয়ে ধূয়ে পূনরায় তা লাগিয়ে দেয়া হলো।
নিজ বান্দাহ্কে @ বান্দাহ্ হওয়ার জন্য প্রথমে মানুষ হওয়া আবশ্যক। নিজ বান্দাহ্কে অর্থাৎ এক জন মানুষকে, শরীর থেকে আত্মা বিচ্ছিন্ন হলে সেটা আর মানুষ থাকেনা, সেটা তখন ‘মরদেহ’ বা Dead body মানুষ নয়। আবার আত্মা থেকে শরীর বিচ্ছিন্ন হলে তাকে বলা হয় ‘রূহ্’ মানুষ নয়। শরীর আর আত্মা এক সাথে থাকলেই তবে মানুষ, মানুষ হলেই সে বান্দাহ্ হতে পারে, আল্লাহ্ নিজ বান্দাহ্কে নৈশ ভ্রমণ করালেন।
রাতের কিছু সময়ের মধ্যে * পুরো রাতভর নয়, তাহলে ‘লাইল’ শব্দ ব্যাবহৃত হতো * রাতের একাংশে/ কিছু সময়ের মধ্যে বুঝানোর জন্য ‘লাইলান’ শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে।
মসজিদে হারাম খেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত
মসজিদে হারাম বলতে কাবা শরীফকে বুঝায়। এই মসজিদটি পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থিত, মক্কার অপর নাম ‘বাক্কা’
সুরা ইমরান-৩ঃ৯৬ আয়াতে এই ঘর সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর, পৃথিবীর সর্বপ্রথম এক্ষাদতের ঘর, বিশ্বমানবতার হেদায়েতের জন্য সৃষ্ট এ ঘর’। সে হিসেবে পৃথিবীর সর্বপ্রথম এক্ষাদতের ঘর মক্কা শরীফ থেকে বোরাকে চড়িয়ে আল্লাহ্ নিজ বান্দাহ্ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কে ইসলামী দুনিয়ার ভবিষ্যৎ রাজধানী মদীনা শরীফে নিয়ে গেলেন, তিনি (সাঃ) সেখানে দু’রাকাত নামাজ আদায় করেন।
মসজিদে হারাম বলতে কাবা শরীফকে বুঝায়। এই মসজিদটি পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থিত, মক্কার অপর নাম ‘বাক্কা’
সুরা ইমরান-৩ঃ৯৬ আয়াতে এই ঘর সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর, পৃথিবীর সর্বপ্রথম এক্ষাদতের ঘর, বিশ্বমানবতার হেদায়েতের জন্য সৃষ্ট এ ঘর’। সে হিসেবে পৃথিবীর সর্বপ্রথম এক্ষাদতের ঘর মক্কা শরীফ থেকে বোরাকে চড়িয়ে আল্লাহ্ নিজ বান্দাহ্ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কে ইসলামী দুনিয়ার ভবিষ্যৎ রাজধানী মদীনা শরীফে নিয়ে গেলেন, তিনি (সাঃ) সেখানে দু’রাকাত নামাজ আদায় করেন।
বিশ্বনবী (সাঃ) মদীনা শরীফ থেকে মুসা (আঃ) -এর মেরাজের স্থানে অর্থাৎ তুর পাহাড়ে গেলেন এবং সেখানে দু’রাকাত নামাজ আদায় করেন। এর পর তিনি (সাঃ) ঈসা (আঃ)-এর জন্মস্থান বাইতে লাহাম বা বেথেলহেম-এ গিয়ে দু’রাকাত নামাজ আদায় করেন।
আকসা শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘দুরবর্তী’, তাহলে মসজিদে আকসা পর্যন্ত মানে ‘দুরবর্তী’ মসজিদ পর্যন্ত। এতে বায়তুল মাক্কদাস এবং বায়তুল মামুর উভয়টিই বুঝায়। বায়তুল মাক্কদাস মক্কা থেকে বহু দুরে অবস্থিত। বায়তুল মাক্কদাস-এ সমস্ত নবী-রাসুলদের ইমাম হয়ে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) দু’রাকাত নামাজ আদায় করেন।
বায়তুল মামুর ভূপৃষ্ট থেকে বহু বহু দুরে, সাত তবক্ক আসমানের উপর। বায়তুল মাক্কদাস -এর পর বোরাক মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে বায়তুল মামুর-এ নিয়ে যায়।
সে স্থানের পার্শবর্তী এলাকাগুলো বরকতে পরিপূর্ণ।
• বায়তুল মাক্কদাস-এর আশ-পাশের এলাকা ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পার্থিব এবং মর্যাদাগত দিকথেকে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাচুর্যশীল।
• বায়তুল মামুর -এর আশ-পাশের এলাকা উর্ধলোকের অপার্থিব বিপুল নেয়ামতে পরিপূর্ণ।
• বায়তুল মাক্কদাস-এর আশ-পাশের এলাকা ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পার্থিব এবং মর্যাদাগত দিকথেকে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাচুর্যশীল।
• বায়তুল মামুর -এর আশ-পাশের এলাকা উর্ধলোকের অপার্থিব বিপুল নেয়ামতে পরিপূর্ণ।
আমার নিদর্শণসমুহ দেখানোর জন্য
@ আল্লাহ্ তায়ালা তাঁকে (সাঃ) কি কি দেখালেন?
• প্রথম আসমানে হযরত আদম (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে, তিনি ডান দিকে ফিরে হাঁসছেন নেক সন্তানদের দেখে, বাম দিকে ফিরে কাঁদছেন বদ সন্তানদের দেখে।
• দ্বিতীয় আসমানে হযরত ঈসা (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * তৃতীয় আসমানে হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * চতুর্থ আসমানে হযরত ইদ্রিস (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * পঞ্চম আসমানে হযরত হারূন (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * ষষ্ঠ আসমানে হযরত মুসা (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * সপ্তম আসমানে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে।
@ আল্লাহ্ তায়ালা তাঁকে (সাঃ) কি কি দেখালেন?
• প্রথম আসমানে হযরত আদম (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে, তিনি ডান দিকে ফিরে হাঁসছেন নেক সন্তানদের দেখে, বাম দিকে ফিরে কাঁদছেন বদ সন্তানদের দেখে।
• দ্বিতীয় আসমানে হযরত ঈসা (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * তৃতীয় আসমানে হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * চতুর্থ আসমানে হযরত ইদ্রিস (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * পঞ্চম আসমানে হযরত হারূন (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * ষষ্ঠ আসমানে হযরত মুসা (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে। * সপ্তম আসমানে হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর সাথে দেখা হয়েছে।
আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন-
0 comments Blogger 0 Facebook
Post a Comment
Thanks for see
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.