নামাযের কিরাতে কোথাও ইমামের সন্দেহ হলে এবং সামনে অগ্রসর হতে না পারলে মুকতাদীর তাকে সহযোগিতা করা উত্তম। সহযোগিতার পদ্ধতি এই যে, মুকতাদী উচ্চস্বরে শুদ্ধভাবে পাঠ করবেন। এটাকে পরিভাষায় ‘লোকমা দেওয়া’ বলে। অনেক সময় কিরাত ছাড়াও উঠা-বসার ক্ষেত্রে কোথাও ইমামের ভুল হলে তাকে সতর্ক করাকেও লোকমা দেওয়া বলে। এই লোকমা দেওয়া ও নেওয়ার আদব ও বিধান রয়েছে। যেগুলো জানা ও মেনে চলা অপরিহার্য।
আম মানুষের মাঝে এই মাসআলাগুলোর আলোচনা কম হয়। সম্ভবত এরই প্রভাব যে, আমার এক সাথী একটা ঘটনা শোনালেন। তিনি নানা বাড়ি গিয়েছিলেন। নামাযে তাকে ইমাম বানানো হল। কিরাতে তার লোকমা লাগল। সালাম ফেরানোর পর মুসল্লিদের কেউ কেউ বলল, আপনি লোকমা নিয়েছেন কিন্তু সাহু সিজদা করেননি। তাই এখন নামায দোহরানো উচিত!!
অথচ সাহু সিজদার বিষয়টি নামাযের কোনো ওয়াজিবে ভুল করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিরাতের লোকমার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কিরাআতের যেসব ভুলের কারণে নামায ভেঙ্গে যায় এমন কোনো ভুল যদি কারো নামাযে হয় তাহলে সাহু সিজদার দ্বারা নামায শুদ্ধ হবে না; পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। পক্ষান্তরে কিরাতে যদি কোনো সাধারণ ভুল হয় কিংবা বড় ভুল হলেও লোকমা দেওয়ার পর ইমাম তা শুধরে নেন তাহলে নামাযের ক্ষতি হবে না। এক্ষেত্রে নামাযও পুনরায় পড়তে হবে না, সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না। আল্লাহ তাআলা তাওফীক দিলে পরবর্তী কোনো সংখ্যায় সিজদায়ে সাহুর মাসাইল সম্পর্কে আলাদা নিবন্ধ প্রকাশের ইচ্ছা রইল।
0 comments Blogger 0 Facebook
Post a Comment
Thanks for see