ফাঁস হলো গাজীপুরে জঙ্গি নাটকের রহস্য, ১ মাস আগে প্রশাসনই ভাড়া নিয়েছিল ঐ বাড়ি!

ফাঁস হলো গাজীপুরে জঙ্গি নাটকের রহস্য, ১ মাস আগে প্রশাসনই ভাড়া নিয়েছিল ঐ বাড়ি!

গত ৮ অক্টোবর গাজীপুরের পাতারটেকে ‘অপারেশন শরতের তুফান’ নামের কথিত অভিযানে সাতজন, একই জেলার হাড়িনাল এলাকার আরেকটি বাড়িতে র‌্যাবের কথিত অভিযানে দুজন, টাঙ্গাইলের কাগমারায় র‌্যাবের আরেকটি কথিত অভিযানে আরও দুজন এবং সাভারের আশুলিয়ায় একজন নিহত হয়।
গতকাল গাজীপুরের হাড়িনাল এলাকায় যে বাড়িতে দু’জনকে জঙ্গি অভিযোগে হত্যা করা হয় সেখানে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় পিলে চমকানো তথ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড়িটির সাথে সংশ্লিষ্ট ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, ঘটনার মাস খানেক আগে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে বাড়ীটি ভাড়া নেয়া হয়েছিলো। আর মাঝে মাঝে কিছু ওয়্যারলেসধারী লোকজন সেখানে যাতায়াত করতো। তবে এ বিষয় নিয়ে পুলিশের ভয়ে কেউ বিস্তারিত বলতে নারাজ।
জানা যায়, কথিত ওই অভিযানের আগের রাতেই ঘিরে ফেলা হয় পুরো পশ্চিম হাড়িনাল এলাকা। ভয়ে লোকজন যে যার নিজের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরেরদিন সকালে ব্যপক গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পুরো এলাকার মানুষ। পরে জানা যায় র‌্যাব এখানে অভিযান চালিয়েছে। এবং র‌্যাবের গুলিতে দু’জন নিহত হয়েছে।
একদিনে ১১ কথিত জঙ্গি হত্যার এই পুরো নাটক নির্মিত হয় আওয়ামী পুলিশের সংগঠন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপরের এসপি হারুন এর নেতৃত্বে। যে ইতোপূর্বে প্রকাশ্য রাজপথে বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদিন ফারুককে অন্যায়ভাবে পিটিয়ে আহত করেছিল।
এ পর্যন্ত এই একটি বাড়ির তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। প্রকৃত তথ্য জানার দেশের মিডিয়াগুলোর কোনই পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তারা পুলিশ যেমনটি তথ্য দিচ্ছে সেভাবেই সাজানো রিপোর্ট করে চলেছে। মিডিয়াগুলো প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে সহায়তা করলে আরও অনেক ভয়ানক সত্য বের করে আনা সম্ভব।
ধারণা করা হচ্ছে গুলশান হামলার পর সারাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা সংগ্রহ করে র‌্যাব-পুলিশ। সেই সংগৃহিত তালিকা ধরে নিখোঁজদের গ্রেফতার করা শুরু করে তারা। আর রাজনৈতিক নেতা-কর্মী গুম করা তো তাদের রুটিন ওয়ার্ক বলে প্রমাণিত। এদের মধ্যে থেকে বাছাই করে সময় সুযোগ মত জঙ্গি আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে আকাশ, বিকাশ, বাধন, ডন টাইপের নাম দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। জুড়ে দেয়া হচ্ছে হলি আর্টিজানে জঙ্গিদের ব্যবহৃত সেই একই মডেলের একে-২২ রাইফেল আর নাইন এমএম পিস্তল। যা কথিত কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুলের দাবী অনুযায়ী ভারতের তৈরী। প্রয়োজন হলেই কথিত এই বন্ধুরাষ্ট্র সাপ্লাই দিচ্ছে একই মডেলের অস্ত্র। আর যখনই কোন ইস্যুতে সরকার বেকায়দায় পড়ে যাচ্ছে তখনই মঞ্চস্থ করা হচ্ছে নতুন নতুন এই নাটক। আর এজন্য বেছে নেয়া হচ্ছে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো।
একত্রে দলবেঁধে হত্যা করা হচ্ছে এসব নাম পরিচয় না জানা। এমনকি প্রশাসনও এখনও পর্যন্ত এদের সবার পরিচয় প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জীবিত আটকের চেষ্টা না করে একত্রে গণহারে হত্যায় সন্দেহ সংশয় সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। কেউ জানতেই পারছেনা যাদের হত্যা করা হচ্ছে কি তাদের অপরাধ? অথবা আদৌ অপরাধী কিনা? দেশের আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী।
যত নাটকই মঞ্চস্থ হোক, সত্য উন্মোচিত হবেই…

0 comments Blogger 0 Facebook

Post a Comment

Thanks for see

 
আমাদের সকল চেষ্টা মানবতার কল্যাণে © 2013. All Rights Reserved. Powered by Blogger
Top